News:

ইতিহাসঃ সংক্ষিপ্তাকারে প্রতিষ্ঠানের ইতিহাস

ঢাকা জেলার কেরাণীগঞ্জ উপজেলাধীন ‘কেরাণীগঞ্জ গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ’ টির যাত্রা শুরু হয় ১৯৭২ সালে ১ জানুয়ারি ‘কেরাণীগঞ্জ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়’ নামে।

১৯৭১ সালে স্বাধীনতা লাভের পরপরই যখন বাংলাদেশকে গড়ার এক বিপ্লব শুরু হয়। তখন এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক জনাব মোস্তফা মহসীন মন্টুর নেতৃত্বে “শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড ও নারী সমাজকে বাদ দিয়ে একটা সুশিক্ষিত জাতি গড়ে উঠতে পারে না” এ বাস্তবতাকে উপলদ্ধি করে নারী শিক্ষা প্রসারের লক্ষ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী কয়েকজন সাথী ও কিছু নিবেদিত সমাজসেবী ব্যক্তিবর্গের আর্থিক সহযোগীতায় তিলে তিলে প্রতিঠানটি গড়ে তোলেন।

প্রথমদিকে মাত্র ৫৯ জন ছাত্রী নিয়ে ‘পারজোয়ার কালিন্দী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে’ প্রভাত কালীন সময়ে (৭.৩০ হতে ১০.৩০ পর্যন্ত) শুরু হলেও ১৯৮৩-৮৪ ইং সনে প্রতিষ্ঠানটি নিজস্ব গৃহে ফিরে যায় এবং ১৯৮৪ সনে জুনিয়র ১৯৮৬ সনে ৯ম শ্রেণির সরকারের স্বীকৃতি লাভ করে। শুধু তাই নয় অত্র এলাকার নারী সমাজের উচ্চ শিক্ষা লাভের পথ সুগম করার জন্য ১৯৯১ সনে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে উন্নিত হয়।

স্বাধীনতার ফসল এ প্রতিষ্ঠানটি শুরু থেকেই লেখাপড়া, খেলাখুলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড সহ বিভিন্ন দিক থেকে এ উপজেলার অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ হিসেবে দাবী রাখে। ২০০১ সালে একমাত্র এই প্রতিষ্ঠানটিই কেরাণীগঞ্জ উপজেলার এ যাবত কালের মধ্যে ‘শ্রেষ্ঠ নারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান’ হিসেবে জাতীয় পর্যায়ে স্বীকৃতি লাভ করে। শুধু তাই নয় ২০০৪ শিক্ষাবর্ষে কলেজ শাখা ঢাকা জেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবেও স্বীকৃতি পায়।

প্রসাশন ও এলাকার সুধি মহলের সহযোগিতা পেলে প্রতিষ্ঠানটি আরো এগিয়ে যাবে প্রত্যাশা করছি।